ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শতক হাঁকিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৫ বিশ্বকাপে লাল-সবুজের জার্সিতে বিশ্বমঞ্চে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর একে একে আরও তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রিয়াদ। যার সবুগুলোই এসেছে আইসিসি ইভেন্টে। টাইগার এই অলরাউন্ডার সবশেষ শত রানের ইনিংস খেলেন চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিতে।
এরপর আইসিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াদ জানিয়েছেন, এটিই হতে চলেছে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শতক হাকানোর মাইলফলক গড়েন রিয়াদ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর একই আসরে পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও তিনি করেছিলেন আরও একটি শতক।
এরপর ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কিউইদের বিপক্ষেই আরও একটি শতক হাঁকান রিয়াদ। এদিকে চলতি বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর বিশ্রামের কথা বলে দল থেকে বাদ দেয়া হয় রিয়াদকে। তবে দলের বাইরে থাকলেও লড়াই চালিয়ে গেছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। নিজেকে প্রস্তুত করেছেন দেশের হয়ে অবদান রাখতে।
অবশেষে তা তিনি পেরেছেনও। নিজেকে প্রমাণ করেই বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন তিনি। আর বিশ্বমঞ্চে আরও একবার খেলার সুযোগ পেয়েই তা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন রিয়াদ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লজ্জার হারের মুখোমুখি বাংলাদেশ, তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি, করেছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
এদিকে নিজের ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক তুলে নেয়ার পর আইসিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রিয়াদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘দেশের হয় অনেকদিন ধরেই খেলছি আমি। ২০০৭ সালে আমার অভিষেক হয় বাংলাদেশের জার্সিতে। এরপর অনেক সময় হয়ে গেলো আমি খেলছি, আইসিসি ইভেন্টে চারটি সেঞ্চুরি করতে পারায় আসলে আমি নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করি।’
এরপরই রিয়াদ বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। এরপর বাংলাদেশের হয়ে আমি আর কতদিন খেলতে পারবো তা নির্ভর করছে আমার শরীর এবং পারফর্ম্যান্সের উপর। তবে খুব তাড়াতাড়ি হোক বা আরও কিছু সময় পরেই হোক, আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতেই হবে।’
এরপর রিয়াদ বলেন, ‘ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটও সামনে এগিয়ে যাবে, আমাদের ড্রেসিংরুমে মুস্তাফিজ, তাসকিন, মিরাজরাই হবে সিনিয়র ক্রিকেটার, ভবিষ্যতে ওরাই হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি।’